নরসিংদীর শিবপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের মুন্সেফেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই স্বামীর নাম আরিফ মিয়া (২৮)। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম মুক্তা বেগম। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আরিফ পেশায় একজন প্রাইভেটকার ড্রাইভার।
স্থানীয়রা জানান, মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা আরিফ মিয়া স্ত্রী মুক্তা বেগমকে নিয়ে শিবপুরের মুন্সেফেরচর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। এর মধ্যে আরিফের দ্বিতীয় বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ বাধে।
সোমবার দিবাগত রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো কোনো বস্তু দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটেন স্ত্রী। পরে স্বামী টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা জড়ো হন। মঙ্গলবার ভোরে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এনে তার চিকিৎসা করানো হয়।
ভুক্তভোগী আরিফ মিয়া বলেন, রাতে ব্যথার যন্ত্রণায় আমার ঘুম ভাঙ্গলে দেখি হাত-পা বাঁধা। সারা বিছানা রক্তে ভেসে গেছে। পরে আমি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিবপুর থানার ওসি সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পর রাতেই ভুক্তভোগীর স্ত্রী অভিযুক্ত মুক্তা বেগমকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আরিফের দ্বিতীয় বিয়ের একটা গুঞ্জন আছে। আবার স্ত্রীর কোনো খোঁজ রাখত না। যার কারণে স্ত্রী এ ঘটনা ঘটায়। আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করছি, তদন্তে পর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। আর এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবারের কেউ এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।